রাজধানীর বনানীতে ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয়ে একজন তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিশেষজ্ঞকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার নাম কামরুল হাসান সাব্বির।
তিনি বনানীর ‘টাইগার আইটি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে সাইবার সিকিউরিটি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন।
ভিকটিমের পরিবারের দাবি, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সাদা পোশাকে কয়েক ব্যক্তি তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
কামরুল হাসান সাব্বিরের স্ত্রী রহিমা আক্তার জানান, তার স্বামী অফিস থেকে নিচে নামার পর একদল লোক জোর করে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তার স্বামীর সঙ্গে একজন সহকর্মী ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিরা নিজেদের ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয় দিয়ে তার স্বামীকে রাতে বাসায় ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও জানিয়ে যায়।
নিখোঁজ স্বামীর সন্ধানে বনানী থানায় অভিযোগ করেছেন রহিমা আক্তার। তবে অভিযোগে ভুক্তভোগী ‘নিজের অজান্তে’ হারিয়ে গেছেন বলে উল্লেখ করেছে বনানী থানার পুলিশ।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী রহিমা আক্তার জানান, তারা থানায় গিয়ে সাব্বিরকে ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ জিডিতে ‘অজান্তে হারিয়ে যাওয়ার’ কথা উল্লেখ করেছে। তা নাহলে জিডি করা যাবে না বলে জানিয়েছে।
রহিমা আক্তার জানান, ওই দিন সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে তার স্বামীর মোবাইল ফোন বন্ধ পান। পরে তারা থানা পুলিশসহ ডিবি ও র্যাব কার্যালয়ে সন্ধান করেও সাব্বিরকে না পেয়ে বনানী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান।
সাব্বিরের স্বজনরা জানান, বনানী থানার পুলিশ তাদের জানিয়েছে, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে খিলক্ষেত এলাকায় সাব্বিরের অবস্থান ছিল বলে জানতে পেরেছেন। প্রশাসনের পরিচয় দেওয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাকে কোথায় নিয়ে গেছে, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
বনানী থানার এসআই এস এম শামছুর রহমান জানান, নিখোঁজ সাব্বিরের পরিবারের সদস্যরা ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয়ে তাকে তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ঢাকা মেট্রো চ-৫৩-৬৪৩৫ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের একটি হাইএস মাইক্রোবাসে সাব্বিরকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
তুলে নেওয়ার সময় নিখোঁজ সাব্বিরের সঙ্গে অফিসের নিচে অবস্থান করছিলেন তার এক সহকর্মী। নাম প্রকাশ না করে প্রথমে তিনি জানান, ওই ব্যক্তিরা সাব্বিরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেছে। পরে অজ্ঞাত কারণে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি।