রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:১৪ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে প্রশাসনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রক্রিয়াসহ নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।
একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাতকারে ডোনাল্ড লু বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলেছি, এই নীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেওয়া হবে, তাদের নাম আমরা প্রকাশ করবো না। কাউকে ভিসা না দেওয়াসহ যেকোনো ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য।’
মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি এটুকু বলতে পারি যে, এই নীতি ঘোষণা করার পর থেকে সার্বিক ঘটনা খুব কাছ থেকে আমরা দেখেছি। সাক্ষ্য-প্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।’
ডোনাল্ড লু বলেন, ‘ভিসানীতির উদ্দেশ্য হলো, সহিংসতা কমানো এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গঠনমূলক অংশীদার হওয়া।’
কাদের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে ক্ষুণ্ণ করছেন, এমন যেকোনো ব্যক্তির ওপর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।’
এছাড়া ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সংগঠনের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা থেকে বিরত রাখতে সহিংসতা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বা মতামত প্রকাশ থেকে বিরত রাখতে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমের ওপর পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণের মতো কারণে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
ডোনাল্ড লু বলেন, ‘এই নীতি অনুযায়ী যাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যরাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন, যোগ করেন ডোনাল্ড লু।’
মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই নীতি শুধুমাত্র নির্বাচনের দিনের জন্য নয়, বরং সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য প্রযোজ্য। আমরা নির্বাচনের সঠিক তারিখ জানি না, তবে এটা স্পষ্ট যে নির্বাচনি প্রক্রিয়া পুরোদমে চলছে। বাংলাদেশিদরা যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রও তাই চায়। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বরাবরই তার ক্ষমতাচ্যুতির প্লট তৈরির জন্য মার্কিন প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ডোনাল্ড লু’কে দায়ী করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা শুরু