রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২:২৭ : অপরাহ্ণ
গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় ঢুকে মেয়র ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কথাবার্তা, ক্যারেক্টার, বডি লাগুয়েজ সবকিছুতে একটা প্রচণ্ড সন্ত্রাসী ও জমিদারি ভাব থাকে। এটাই তাদের চরিত্র।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বনশ্রীতে ২ নম্বর ওয়ার্ডে এক অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বিএনপি মহাসচিব লজ্জায় ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে মুখ লুকিয়েছেন।’
মেয়র তাপসের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাদের মানসিকতা কোথায় তা কথার মধ্যেই পাবেন। কাকে ঢুকতে দেবে, কাকে ঢুকতে দেবে না; এ ধরনের কথা তারা বলে। কে কী বলল না বললো, তাতে জনগণের কিছু যায় আসে না। জনগণের লক্ষ্য একটাই, তারা দেশে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। সে নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।’
আগামী নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা পরীক্ষিত। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা বিষয়টি উপলব্ধি করে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে আরও প্রমাণিত হলো যে, এ দেশে আসলেই নির্বাচনের পরিবেশ নাই।’
চলমান আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে নানা চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শত প্ররোচনার মুখেও আমরা একেবারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি; গ্রেপ্তার, মামলা, অত্যাচার নির্যাতনের পরেও। শেষ পরিণতি কী হবে, সরকারের আচরণ কী হবে, তার ওপর নির্ভর করছে আমাদের আচরণ কী হবে।’
বগুড়া টু রাজশাহী রোডমার্চের বহরে নাটোরে হামলার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নাটোরে আমাদের নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ঘটনার আশপাশে থাকা মানুষ যদি এগিয়ে না আসত তবে গাড়ির ভেতরে যারা ছিলেন তাদের আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুড়িয়ে মারত। সুতরাং সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস এখন কারা করে তা পরিষ্কার।
সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশ রক্ষার জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য দয়া করে পদত্যাগ করুন। যত দিন আপনি থাকবেন দেশ আরও সংঘাতের দিকে যাবে, আরও খারাপের দিকে যাবে। এখনো তো সংঘাত শুরুই হয়নি। সরকারের কাছে আমাদের আবেদনটা একটাই, প্লিজ রিজাইন। পদত্যাগ করে জনগণকে প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ দিন।’
