রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৬:৫৩ : অপরাহ্ণ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মিজানুর রহমান (৫০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
মিজানুর রহমান ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নবিছদ্দিনের ছেলে। তিনি জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা। তার লাশ ভারতের কৃষ্ণনগর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
জীবননগর থানার ওসি জাবিদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, মিজানুর রহমান কিছুদিন ধরে ভারতীয় গরুর ব্যবসা শুরু করেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি অবৈধভাবে মানুষ পারাপারের কাজ করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার মিজানুর ও তার সহযোগীরা কয়েকজন মানুষ নিয়ে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিজানুর। পালিয়ে যান তার সহযোগীরা।
পরবর্তীতে মিজানুরের ছবি সংগ্রহ করে তার স্ত্রীকে দেখানো হয়। ছবিটি তার স্বামী মিজানুরের বলে শনাক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও সীমান্তে একের পর এক বাংলাদেশিদের হত্যার ঘটনা ঘটছে।
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে গত বছরের ১০ অক্টোবর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও সীমান্তে মানুষ হত্যার ঘটনা বাংলাদেশেরর জন্য দুঃখজনক আর ভারতের জন্য লজ্জাজনক।
আরও পড়ুন: বিএসএফকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা ভারতের জন্য লজ্জার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী