বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪ | ১২ আষাঢ়, ১৪৩১ | ১৯ জিলহজ, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

ড. ইউনূসকে আইনি প্রক্রিয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে, জাতিসংঘের বিবৃতি


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৮:০২ : অপরাহ্ণ
জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আইনি প্রক্রিয়ায় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’র দুই নেতা আদিলুর রহমান খান ও নাসিরউদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো নিয়েও উদ্বেগ জানানো হয়।

জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি ও মার্তা হুরতাদো এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।

বিবৃতিতে ভলকার তুর্ক বলেন, বাংলাদেশে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, মানবাধিকারকর্মী এবং ভিন্নমত পোষণকারীদের আইনি প্রক্রিয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে; যা উদ্বেগজনক লক্ষণ। এ মামলাগুলো বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।

জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেন, অধ্যাপক ইউনূস প্রায় এক দশক ধরে হয়রানি ও ভয়ভীতির মুখোমুখি। তিনি বর্তমানে দুটি বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন যেগুলোতে তার কারাদণ্ড হতে পারে, একটি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং দ্বিতীয়টি দুর্নীতির অভিযোগ।

ভলকার তুর্ক বলেন, অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য সুপরিচিত। তিনি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন।

জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন যে, তার বিরুদ্ধে মানহানিকর প্রচারণা অনেক সময়ই সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আসছে এবং এতে তার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি আছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ভলকার তুর্ক বলেন, বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ ও নিরাপত্তায় কাজ করে যেতে মানবাধিকারকর্মী ও অন্যান্য সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের জন্য নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেন, ‘অধিকারের নেতা আদিলুর রহমান খান ও নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে মামলা জাতিসংঘ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, যেগুলোর রায় ৭ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সঙ্গে ১০ বছর আগের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সম্পর্ক রয়েছে।

যথাযথ প্রক্রিয়া এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে এ মামলাগুলোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যালোচনা নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশের নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনটিও জাতিসংঘ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে ভলকার তুর্ক বলেন, নতুন আইনটিতে কারাদণ্ডের পরিবর্তে জরিমানা রাখ হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি অপরাধের জন্য জামিনের সুযোগ থাকবে। তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে আটকাতে আইনের স্বেচ্ছাচারী ব্যবহার রোধ করতে সব উদ্বেগের সমাধান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর