শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

হিলারি ক্লিনটন আদেশ দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করেছিলেন: শেখ হাসিনা


আজ বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৭:১৬ : অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন নিজে আদেশ দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ তুলেন।

সমাবেশে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।

ড. ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু করতে গিয়ে আমাদের ওপর বদনাম দিয়েছিল, একটা ব্যাংকের এমডি পদের জন্য সেটাও সরকারি বেতনধারী। সরকারি আইনে আছে ৬০ বছর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবে। এর বেশি হলে থাকতে পারবে না। তারপরও বেআইনিভাবে ১০ বছর চালিয়ে আবারও সেখানে থাকতে হবে, সেই লোভে বারবার আমাদের ওপর চাপ।’

‘একটি বড় দেশও বারবার চাপ দিতো’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমডি পদে না রাখলে নাকি পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দেবে। আমাদের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে সেই ভদ্রলোক মামলাও করেছিল। কিন্তু আদালত তো তার বয়স কমাতে পারে না। সে মামলায় হেরে যায়। তারপর তার বিদেশি বন্ধু দ্বারা…এটা কিন্তু ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বোর্ডে হয়নি। হিলারি ক্লিনটন নিজে অর্ডার দিয়ে তখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাকে দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দেয়।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘তখন বলেছিলাম নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করবো, কারও কাছে হাত পেতে না। আমরা সেটা করেছি। সেটা করে বিশ্বকে দেখিয়েছি। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা ভাষণ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এই বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা কিন্তু সেই জাতি। আমাদের দাবায়ে রাখতে পারে নাই।’

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ওরা (বিএনপি) ভোট করতে আসে না। ভোট চায় না। ভোট পাবে না। কারণ ওরা তো লুটেরা, সন্ত্রাসী। মানুষের শান্তি কেড়ে নেয়। মানুষের সম্পদ ঘরবাড়ি কেড়ে নেয়। লুটপাট, সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি। এরা কখনো মানুষের কল্যাণ করতে পারে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। খুনিদের কাছে তিনি জীবন ভিক্ষা চাননি। জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, তার ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় নিয়ে আসে এই বাঙালি জাতি।’

ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বর্ণনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো স্বৈরচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগ মাঠে নেমেছে। ছাত্রলীগ হচ্ছে সেই শক্তি। এই তারুণ্যের শক্তি এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশকে। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। তার পেছনে ছাত্রলীগের ভূমিকা রয়েছে। যেকোনো দুর্বিপাকে তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এরা হাত-পা ধুয়ে শুয়ে গেছে, কোথায় আন্দোলন? ১০ ডিসেম্বরের আন্দোলন গোলাপবাগের গরুর হাটে গিয়ে হোঁচট খেল, গর্তে পড়ে গেল। এখন আর পদযাত্রায় কাজ হয় না। তাই এখন শোকযাত্রা, বিএনপি শোক মিছিল শুরু করেছে। বিজয় আমাদের হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আছে, আমাদের ভয় নেই।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশে বিদেশে কত ষড়যন্ত্র চক্রান্তের খেলা। তারা (বিএনপি) জানে, এ দেশের ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচনে তারা শেখ হাসিনাকে হারাতে পারবে না, সেজন্য ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা থেকে সরানোর চক্রান্ত করছে। ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে চাইছে।’

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এতে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতারা অংশ নেন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর