রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২০ আগস্ট, ২০২৩ ১১:৩১ : অপরাহ্ণ
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আমন্ত্রণে তিনদিনের সফরে দিল্লি গেছে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন জি এম কাদেরের সহধর্মিণী ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শেরিফা কাদের এবং দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা।
রোববার দুপুরে তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন। দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলের শীর্ষ নেতারা বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানান।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে জি এম কাদের ভারত সরকার ও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও চলছে নানা আলোচনা। সফর শেষে ২২ আগস্ট তাদের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, বিজেপির আমন্ত্রণে জি এম কাদেরের এই দিল্লি সফর। সেখানে তিনি দেশের আগামী নির্বাচন ও জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে কথা বলতে পারেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গেও তার বৈঠকের কথা রয়েছে।
ওই সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী নির্বাচনে জাপা কার সঙ্গে থাকবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেপ্টেম্বরে। আর জি এম কাদের সেই বিষয়টি সামনে রেখেই আগামী নির্বাচনে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করতে দিল্লি গেছেন।
জি এম কাদেরের এই দিল্লি সফর নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ দলের নেতারা।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রভাবশালী নেতা জানান, বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে নিজের অবস্থানে নিতে পারবে নাকি ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের পক্ষে টানতে পারবে। এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান জি এম কাদের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে জি এম কাদেরের দিল্লি সফরের রাজনৈতিক তাৎপর্য অনেক। নানা কারণেই এই সফর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট বিজেপির আমন্ত্রণে দিল্লি সফরে যান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
দিল্লি সফরের সময় আওয়ামী লীগের নেতারা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করসহ একাধিক শীর্ষ নেতা এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।