রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৬ আগস্ট, ২০২৩ ২:৩১ : অপরাহ্ণ
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ রাজধানী থেকে পিরোজপুরে নেওয়া এবং বায়তুল মোকাররমে গায়েবানা জানাজা কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের পাঁচ হাজার নেতা-কর্মীর নামে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এ দুটি মামলা করেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভেতরে এবং শাহবাগে ১৪ আগস্ট রাত থেকে শুরু করে ১৫ আগস্ট ভোর পর্যন্ত চলা জামায়াত শিবিরের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। শাহবাগ থানার এসআই মো. জব্বার বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
এতে আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ আছে চারজনের। তারা হলেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, সাঈদীর ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী, ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ঢাকা মহানগর জামায়াতের সরকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়া অজ্ঞাত সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
পল্টন থানার মামলাটির বাদী হয়েছেন একই থানার এসআই সালাহ উদ্দিন কাদের। ১৫ আগস্ট দুপুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে ও বাইরে সংঘর্ষের ঘটনায় নাম উল্লেখ করে মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৬ জনকে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও একশ’ থেকে দেড়শ’ জন জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গত ১৩ আগস্ট রাতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সাঈদীর মৃত্যুর খবরে খবরে জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ওই দিন রাতেই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ও শাহভাগে ভিড় করেন।
ঢাকায় সাঈদীর জানাজার দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেন। এসময় সাঈদীর মরদেহ হাসপাতাল থেকে বের করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।