রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসভবনে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দুই কংগ্রেসম্যান ম্যাককোরমিক ও কেইস।
আজ রোববার সন্ধ্যায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে দূতাবাসের দুজন কর্মকর্তাসহ ১৭ জন অংশ নিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বৈঠকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, মানবাধিকার পরিস্থিতি, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ, গণতন্ত্র, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে অনেকের মধ্যে ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই কংগ্রেসম্যান মূলত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। বুঝতে চেয়েছেন, নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার কোনো সুযোগ আছে কি না।’
তবে দুই মার্কিন রাজনীতিক নিজেরা কোনো মন্তব্য করেননি বলে জানান তিনি।
বৈঠকে ছিলেন আর্টিকেল ১৯–এর আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সালও। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে হলে কী করা দরকার, সে বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে। নির্বাচন প্রসঙ্গ এর মধ্যে একটি।’
ফারুক ফয়সাল বলেন, ‘তারা জানতে চেয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আগে ছিল কি না? বৈঠকে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন কংগ্রেসম্যানদের জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আগে ছিল। এখন তা সংবিধানে নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, কংগ্রেসম্যানদের এমন প্রশ্নে কয়েকজন জানান, সেটা রাজনৈতিক দলগুলো ভালো বলতে পারবে।’
বৈঠকে আরও ছিলেন-দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনিরুজ্জামান, প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী নারীনেত্রী শিরিন হক, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার, সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক টিভি টকশো তৃতীয় মাত্রার সঞ্চালক জিল্লুর রহমান এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান প্রমুখ।
চার দিনের সফরে দুই কংগ্রেসম্যান গতকাল শনিবার ঢাকায় পৌঁছান। আজ নাগরিক সমাজের সঙ্গে বৈঠকের আগে তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিরোধী বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।