রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১০ আগস্ট, ২০২৩ ১:০৮ : অপরাহ্ণ
ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবী হত্যা মামলায় চট্টগ্রামের এক শিল্পপতির ছেলে ইয়াছিন রহমান টিটুর রিভিউ আবেদন খারিজ করে তার যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজসহ সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
২০১২ সালের ১ আগস্ট জিবরান তায়েবী হত্যা মামলায় আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতে টিটুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে টিটু রিভিউ আবেদনটি করেছিলেন।
ঘটনার বিবরণী থেকে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ৯ জুন চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের চুংকিং রেস্টুরেন্টের সামনে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবীকে।
তিনি চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল মেরিটাইম (বিডি) লিমিটেডের প্রিন্সিপাল রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ওই ঘটনায় পরদিন ডবলমুরিং থানায় ইয়াসিন রহমান টিটুসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেন জিবরানের স্ত্রী তিতলী নন্দিনী।
জিবরানের বাবা টি এ খান তখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মহাপরিদর্শক ছিলেন।
অন্যদিকে আসামি ইয়াসিন রহমান টিটু চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপ কেডিএসের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে।
১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর আটজনকে আসামি করে এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ।
আট আসামি হলেন-ইয়াছিন রহমান টিটু, মো. ওসমান আলী, আলী আকবর ওরফে দিদারুল আলম, জিল্লুর রহমান, জাহিদ হোসেন ওরফে কিরণ, মো. সিদ্দিক, ওমর আলী ওরফে জাহাঙ্গীর কসাই ও আলমগীর।
এ মামলায় ২০০২ সালের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের রায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপর আসামি টিটু, ওমর আলী ও আলমগীর খালাস পান।
রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে উচ্চ আদালত ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ ইয়াছিন রহমান টিটুকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে মামলার আরেক আসামি মোহাম্মদ ছিদ্দিককে বেকসুর খালাস দেন।
খুনের ঘটনার পর থেকে প্রায় ১২ বছর বিদেশে পলাতক ছিলেন টিটু। পরে ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে পরদিন চট্টগ্রামে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
গত ১২ বছর ধরে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে তাকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর করা হলেও পরে আবার চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামিকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির বিশেষ বন্দীর মর্যাদা (ডিভিশন) দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিল্পপতির সাজাপ্রাপ্ত পুত্রের ‘আপত্তিতে’ বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী কেরানীগঞ্জে!