পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জিসোমিয়া ও আকসা চুক্তি হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি করার মতো বিলাসিতা সরকার করবে না।
বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আকসা ও জিসোমিয়া নামের দুটি চুক্তি সই করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। আকসার (অ্যাকুজিশান অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট) অধীনে মার্কিন বাহিনী খাদ্য, জ্বালানি, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি বিনিময় করে থাকে। জিসোমিয়া (জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) চুক্তির অধীনে সামরিক গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময় হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। অন্য কোনো দেশে এভাবে বলেন না। আমাদের দেশে অনেক দিন থেকে এটা হয়ে আসছে। এ জন্য বিভিন্ন মহল দায়ী। তবে এ সংস্কৃতি একদিনে পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। এখন সময় এসেছে, এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার। এ সংস্কৃতি বন্ধে আমরা একটা সেমিনার করবো।
এসময় এক সাংবাদিক জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র বলছে দুর্নীতি দমনে দেশটি নিষেধাজ্ঞাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে দুর্নীতি করে যেসব বাংলাদেশিরা অর্থ জমিয়েছে, তা জব্দের কথা শোনা যাচ্ছে- এ বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া কী?
এই প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, দুর্নীতি করে টাকা নিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার যদি তা জব্দ করে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। তারা যদি দুর্নীতি বন্ধে সাহায্য করে, আমরা খুব খুশি হব। কারণ তাদের দেশে একটি আইন আছে, বেশি টাকা নিয়ে গেলে কাজের অনুমোদন পাওয়া যায়, তাদের নাগরিক হওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের সফর সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ১২ আগস্ট চারদিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন দু’জন মার্কিন কংগ্রেসম্যান। আমেরিকা আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে চায়। আমরা কাউকে আমন্ত্রণ জানায়নি, তারা নিজে থেকেই আসবে। আমরা খুব খুশি।