রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আইন-আদালত

সিঙ্গাপুরে এস আলমের ১শ কোটি ডলার অর্থপাচার, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৬ আগস্ট, ২০২৩ ১:৩৯ : অপরাহ্ণ

এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া সিঙ্গাপুরে ১শ কোটি ডলার অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) ২ মাসের মধ্য রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট দেশের শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে ‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এই প্রতিবেদনটি আজ সকালে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। এরপর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো অনুমতি তিনি নেননি।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনলে আদালত বলেন, ‘যদি এস আলম অর্থপাচার না করে থাকে তবে সেটা এফিডেভিট আকারে দাখিল করুক।’

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাইরে বিনিয়োগের জন্য এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিলেও চট্টগ্রামভিত্তিক বিশাল এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম সেই তালিকায় নেই। কাগজপত্রে আরও দেখা যায়, গত এক দশকে সিঙ্গাপুরে এস আলম অন্তত দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য যে সম্পদ কিনেছেন এবং সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তার নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে, এই পরিমাণ অর্থ ২০০৯ সালের পর সিঙ্গাপুরে এস আলমের কেবল দুটি হোটেল ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা ৪১১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দশ ভাগের এক ভাগ মাত্র।’

ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিতে আরও দেখা যায়, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুরে ১ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে, যার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানও এস আলমের মালিকানাধীন নয়।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর