রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২ আগস্ট, ২০২৩ ৪:০৭ : অপরাহ্ণ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাদের ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারা দুজন পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
দুদকের আইনজীবীর মতে, এ মামলায় সাজা হওয়ার জন্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে দুদক। যে কারণে তাদেরকে আদালত শাস্তি দিয়েছেন।
তবে তারেক রহমানের আইনজীবীদের দাবি, আদালত ফরমায়েশি রায় দিয়েছেন। এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে নজিরবিহীন দ্রুততম সময়ে। রাতের অন্ধকারে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এমনকি এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন তাদের আইনজীবীরা যাতে এজলাসে থাকতে না পারে পিপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা মারধর করে বের করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক রহমানের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, এ মামলায় মোট ৫৭ জন সাক্ষী ছিল। মাত্র ১৬ কার্য দিবসে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। যা আদালত অঙ্গনে নজিরবিহীন। দ্রুত এই মামলা শেষ করতে সরকারের হস্তক্ষেপ ছিল। দুইদিন সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে রাত ৭টা পর্যন্ত। কোর্ট অফিসার হিসেবে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের থাকার আইনগত অধিকার রয়েছে। কিন্তু এই মামলায় আমাদের আইনজীবীদের পিপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা মারধর করে বের করে দিয়েছে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দুদক অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে মামলাটি তদন্ত করেছে। ৪২ জন সাক্ষী দিয়েছেন। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা তার অবৈধ উপার্জন এবং ৫৮ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই সময় তিনি গ্রেপ্তার হন।
পরে ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান। এরপর আর দেশে ফেরেননি।
চলতি বছরের গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।