রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২০ জুলাই, ২০২৩ ৪:১৩ : অপরাহ্ণ
সরকার পতনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনরত দলগুলোর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ‘মানুষের কোনো ক্ষতি করলে ছাড় দেয়া হবে না, সব জায়গায় আমাদের ক্যামেরা থাকবে। একেবারে বেছে বেছে, ছেঁকে ছেঁকে ধরা হবে।’
আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এদের হাত থেকে দেশবাসী রক্ষা পাক, সেটাই আমরা চাই। আমরা তাদের রাজনীতিতে বাধা দিচ্ছি না। তবে রেল ও মানুষের কোনো ক্ষতি করলে, তারা কিন্তু ছাড় পাবে না। সব জায়গায় আমাদের ক্যামেরা থাকবে। একেবারে বেছে-বেছে, ছেঁকে-ছেঁকে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আখাউড়া-লাকসাম ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে রেলপথ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সালের দুঃশাসন ও অপকর্মের কারণে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ। বিএনপি সন্ত্রাসী দল; ধ্বংস করা, আগুন নিয়ে পুড়িয়ে মারা হলো বিএনপির আন্দোলন। মানুষের কোনো ক্ষতি করলে ছাড় দেয়া হবে না, ছেঁকে ছেঁকে ধরা হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে সুযোগ দিয়েছিল বলেই দেশের উন্নয়ন করতে পারছি। জনগণকে বলবো, সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করুন। এরা সৃষ্টি নয়, ধ্বংস করতে পারে। লুটপাট করতে পারে, কিন্তু মানুষকে কিছু দিতে পারে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি সন্ত্রাস ছাড়া কিছুই বোঝে না।’ এ সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের অপকর্ম ও নিষ্ঠুরতার কথা ও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও সাধারণ মানুষ হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়ার স্ত্রী (বেগম খালেদা জিয়া) যখন ক্ষমতায় আসেন, তিনিও মানুষ হত্যা ছাড়া কিছুই বোঝেননি। আওয়ামী লীগের ২১ হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মীকে তারা (বিএনপি) হত্যা করেছিল এবং তার (খালেদা জিয়া) শাসনামলে বিপুল সংখ্যক মানুষের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন ও নির্যাতন চালানো হয়েছিল।’