রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১৯ জুলাই, ২০২৩ ৭:২৯ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে। এসময় বিএনপির মহানগর কার্যালয় ও চট্টগ্রাম ১০ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর প্রধান কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে নগরীর কাজীর দেউড়ি দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর মোহাম্মদ সড়ক থেকে পদযাত্রা শুরু করে বিএনপি। এতে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছিলেন।
পদযাত্রাটি নগরের নূর মোহাম্মদ সড়ক থেকে শুরু করে নিউ মার্কেট, কদমতলী হয়ে দেওয়ানহাট গিয়ে শেষ হয়। এরপর কিছু নেতা-কর্মী নগরীর ওয়াসা মোড় হয়ে পার্টি অফিসের দিকে ফিরছিলেন। এসময় ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী তাদের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে দুপক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ের বিএনপির নেতা-কর্মীরা লালখানবাজার এলাকায় চট্টগ্রাম ১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। এসময় তারা কার্যালয়ের সামনে রাখা কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে। এতে কার্যালয়ের একজন নিরাপত্তা রক্ষীসহ দুইজন আহত হন।
ওয়াসা মোড়ে নৌকার কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে নূর আহমদ সড়কে বিএনপির কার্যালয়ে পাল্টা হামলা চালায়। তারা কার্যালয়ের ভেতরে ভাংচুরের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেয়।
তবে এসময় বিএনপির কার্যালয়ে তেমন কেউ ছিলো না। পরে পুলিশ আসলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে সটকে পড়েন। কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এসে কাজীর দেউড়ি মোড়ে জমায়েত হয়। অপরদিকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ওয়াসার মোড়ে অবস্থান করেন।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ করেছিলাম। এরমধ্যে নেতা-কর্মীরা যে যার মতো করে ফিরছিলেন। কিছু নেতা-কর্মী ওয়াসা মোড় দিয়ে ফেরার পথে ছাত্রলীগের ছেলেরা বিনা উস্কানিতে তাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা আমাদের পার্টি অফিসেও হামলা করেছে। পরে নেতা-কর্মীরা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।