সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিলো ভারতের চন্দ্রযান-৩


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ জুলাই, ২০২৩ ৫:০২ : অপরাহ্ণ
৪০ দিন পরে চাঁদে পৌঁছবে ভারতের এই মহাকাশযান। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

ভারতের মহাকাশ সংস্থা আজ শুক্রবার উৎক্ষেপণ করেছে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান। ভারতীয় সময় দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে চাঁদের দিকে রওনা দিয়েছে এই চন্দ্রযান ৩।

একটি এলভিএম-৩ রকেট দিয়ে চাঁদের উদ্দেশে চন্দ্রযানটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এই মহাকাশযান চাঁদের দক্ষিণ মেরুর উদ্দেশে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে গেছে।

যে রকেটে করে চন্দ্রযান-৩ পাঠানো হয়েছে, তা একটি এলভিএম৩-এম৪ রকেট।

চন্দ্রাভিযানে থাকছে একটি ল্যাণ্ডার ও একটি রোভার। ল্যাণ্ডার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে আর রোভার চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে।

ল্যাণ্ডারটি অগাস্টের ২৩-২৪ তারিখে চাঁদের পিঠে নামার কথা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা বিক্রম সারাভাইয়ের নামে ল্যাণ্ডারটির নাম রাখা হয়েছে ‘বিক্রম’ আর রোভারটির নাম ‘প্রজ্ঞান’।

এই অভিযান সফল হলে আমেরিকা, রাশিয়া ও চীনের পর ভারতই হবে বিশ্বের চতুর্থ দেশ, যাদের পাঠানো মহাকাশযান চাঁদের বুকে নামবে।

চার বছর আগে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ পাঠিয়েছিল ভারত। কিন্তু একেবারে শেষমুহূর্তে চন্দ্রযান ২-এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঠিক চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময়ে ল্যাণ্ডার-রোভারটি ধ্বংস হয়ে যায়।

চন্দ্রযান ২-এর ব্যর্থতার হাত ধরেই চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের আশা করছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো (ইন্ডিয়ান স্পেস অ্যান্ড রিসার্চ অর্গানাইজেশন)।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মহাকাশ সংস্থা ইসরোর পরিকল্পনা মতো নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রবেশ করে চন্দ্রযান ৩।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া একেবারে পরিকল্পনা মতো আগাচ্ছে।

ইসরো এরইমধ্যে ঘোষণা করেছে, এই মিশন ‘সাকসেসফুল’। এই চন্দ্রযান মহাকাশযানে অরবিটার, ল্যান্ডার এবং রোভার আছে। ভারতের এই রোভার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ঘুরে বেড়িয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে।

পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব হল প্রায় ৩৮৪,৪০০ কিলোমিটার। পৃথিবী থেকে চাঁদে পৌঁছাতে ৪২ দিন মতো লাগবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অর্থাৎ আগামী ২৩ আগস্ট চাঁদে পৌঁছাবে ভারতের এই চন্দ্রযান।

ল্যান্ডারের মধ্যে রোভার থাকবে। যা চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়াবে। ১৪ দিন সেটি সক্রিয় থাকবে। অর্থাৎ ১৪ দিন পর এর ব্যাটারি ফুরিয়ে যাবে।

এই রোভারের ওজন ২৬ কিলোগ্রাম। চাঁদের মাটিতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে রোভার। চাঁদের মাটির বিভিন্ন উপাদান এবং খনিজ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। রোভারে সোলার প্যানেল, ক্যামেরার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকবে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর