রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৬ জুন, ২০২৩ ৭:৪৪ : অপরাহ্ণ
উচ্চ আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে নিবন্ধন দাবি করায় জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
এ দুটি আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৩১ জুলাই সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
আজ সোমবার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।
জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদনটি করেন মওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, মো. হুমায়ুন কবির ও ইমদাদুল হক নামে তিন ব্যক্তি।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানিয়ার আমীর।
তিনি বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে আমরা দুটি আবেদন করেছি। তার মধ্যে একটি হলো আদালত কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে সেই নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেছে তারা, যেটা আদালত অবমাননার শামিল। আরেকটি হলো জামায়াতের ব্যানারে বা তাদের প্রতীক ব্যবহার করে রাজনৈতিক সব ধরনের কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। চেম্বার আদালত আবেদন দুটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য ৩১ জুলাই দিন ঠিক করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন।
এক দশকেরও বেশি সময় পর পুলিশের মৌখিক অনুমতি নিয়ে গত ১০ জুন রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করে জামায়াত। সমাবেশে তারা নিজেদের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করে এবং দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি চায়।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলটির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে জামায়াতের প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম দেখা যায়নি।
গত ১০ জুনের আগে পুলিশের অনুমতি নিয়ে দলটি রাজধানীতে সর্বশেষ বিক্ষোভ মিছিল করে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন মতিঝিলে কর্মসূচিটি পালন করে তারা।