রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৬ জুন, ২০২৩ ৮:২১ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘যে হাতে হামলা করবে সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। যে হাতে আগুন লাগাতে আসবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতের ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
কারো ভিসা নীতি, নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের নির্বাচন থেমে থাকবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে। গনতান্ত্রিকভাবেই নির্বাচন অনুুষ্ঠিত হবে। আমরা কারও ওপর হস্তক্ষেপ করি না। আমাদের নির্বাচনেও বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপ চাই না। নিয়মকানুন মেনে নির্বাচনে যাচ্ছি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান থাকবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জানে আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের হেরে যাওয়ার ভয় আছে। এখন তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। টাকা-পয়সা দিয়ে (বিদেশে) লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এত টাকা তারা কোথায় পায়?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপিও অংশ নেবে। তাদের অনেকে গোপনে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। তারা ছাড়াও অনেক দল নির্বাচনে অংশ নেবে। দলের অভাব হবে না। কারও ভিসানীতি বা নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশে নির্বাচন ঠেকানো যাবে না।’
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের আগে কোনো দেশে সংসদ কি বিলুপ্ত হয়-এমন প্রশ্ন রেখে বিদেশিদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশে কেন হবে? নির্বাচন শেষে পার্লামেন্ট ভাঙবে। আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধানে যেভাবে আছে সেভাবে চলব। কারও পরামর্শে চলব না। পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারেন, দেখতে পারেন কেমন নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ আস্থাশীল। সেই নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি বেসামাল হয়ে পদযাত্রা করছে। এই পদযাত্রা শেষ পর্যন্ত পতনযাত্রায় রূপ নেবে। তাদের আর কোনো পথ নেই। নিজেদের দলের ওপরই বিএনপির নিয়ন্ত্রণ নেই। বিভিন্ন সিটি নির্বাচনে তাদের নেতাকর্মীরা প্রার্থী হয়েছেন। তাদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কথা শোনেনি। এখন তাদের অনেক নেতা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে জায়গায়-জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করছে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু প্রমুখ।