রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ১৬ জুন ২০২৩, ২:০৯ অপরাহ্ণ
ভোট ডাকাতি করা ছাড়া বিএনপির পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় হোটেল হিলটনে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ তাদের ভোট দেবে, জনগণ তাদের ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে, আর যে জনগণের ভোট পাবে সে সরকার গঠন করবে। এটা গণতান্ত্রিক ধারা এবং তা অব্যাহত থাকবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি এটা ভালো করেই জানে যে, তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য তারা জনগণের কোনো ভোট পাবে না। সে কারণে তারা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে। আসলে তারা চোরের ও ভোট কারচুপিকারীদের দল। অতীতে তারা দেশের সম্পদ বিক্রি করার পূর্বশর্ত মেনে নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের জন্য বিএনপির বারবার হুমকি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার এতোটা দুর্বল নয়। ১০ ডিসেম্বর নিয়ে হইচই ছিল, তারা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে, আমরা এতো দুর্বল পর্যায়ে নেই যে তারা আমাদের পতন ঘটাবে, আমাদের সঙ্গে জনগণ আছে, আমাদের শক্তি আমাদের জনগণ। চোরদের, স্বাধীনতাবিরোধীদের ও খুনিদের ক্ষমতায় এনে আমরা বাংলাদেশকে অন্যের কাছে মাথা নত হতে দেবো না।’
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি, কিন্তু বিএনপি এখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছে।’
বিএনপি পাগল নাকি শিশু হয়ে গেল-প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একবার খালেদা জিয়া দাবি করেছিলেন পাগল বা শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়।’
বিএনপি এখন নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে, নোংরা কৌশল অবলম্বন করছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারা দিবালোকে মানুষ হত্যা করেছে, যারা লুটপাট করেছে, দুর্নীতি করেছে, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়েছে, এটাই এখন মূল ইস্যু যে তারা দণ্ডিত ব্যক্তির নেতৃত্বে নির্বাচনে যাবে কি না।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।