রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
প্রকাশের সময় : ১২ জুন ২০২৩, ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ
নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে শুরু করেছে আট লক্ষাধিক ভোটার। জাতীয় নির্বাচনের ছয় মাস আগে এ নির্বাচনে আটকে আছে সবার নজর।
আজ সোমবার সকাল ৮টায় দুই সিটিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
দুই সিটির কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা, যা দিয়ে ঢাকায় বসে ভোট পরিস্থিতি নজরদরি করবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন উপলক্ষে দুই সিটিতেই আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জনমত জরিপে অনেকটাই নিরুত্তাপ বরিশাল ও খুলনার নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে পর্যবেক্ষকরা।
পাঁচ বছর আগে এই দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের চিত্র ছিল পুরোই ভিন্ন। অনিয়ম, হট্টগোল, এজেন্টদের মারধর ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ছিল ভোটের দিনও। কিন্তু এবার কিছুই নেই।
দুই নগরেই মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন সাতজন। এদের মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন চারজন।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম (হাত পাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপফুল)। বাকি তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বানে মেয়র পদে লড়ছেন। তাঁরা হলেন- মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ), মো. আসাদুজ্জামান (হাতি) ও মো. কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি)।
বরিশাল সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।
অপরদিকে খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে চারজন দলীয়ভাবে প্রার্থী হয়েছেন।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আ. আউয়াল (হাত পাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপফুল)। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন এস এম শফিকুর রহমান (টেবিল ঘড়ি)।
খুলনা সিটিতে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।