শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

শাহবাগে আন্দোলকারীদের ওপর পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’, আটক ৯


সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধরা। সাড়ে ৫ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর আন্দোলকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১০ জুন, ২০২৩ ১১:৩৯ : অপরাহ্ণ

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করাসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করা চাকরিপ্রত্যাশীদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে।

আন্দোলকারীরা বলছেন, পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে ৯ জনকে।

তবে পুলিশ বলছে, লাঠিচার্জ করা হয়নি। মানুষের ভোগান্তি কমাতে বাঁশি বাজিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শাহবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, ৯ জনকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা হলেন-আব্দুর রহমান, আরিফ হোসেন, আবু বকর ছিদ্দিক, রোকন হোসেন, শরিফুল হাসান শুভ, তাসনিমুল হাসান অর্নব, রাকিবুল হাসান, মো.মামুন রশিদ রতন ও মো. জাকির হোসন।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হন দেড় শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী। ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে’ সমাবেশ করেন তারা।

এ সময় সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর, অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল) স্থাপনের দাবি জানানো হয়।

বেলা আড়াইটার দিকে সমাবেশ শেষে ফটোকপি করা সার্টিফিকেট ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান বিক্ষুব্ধরা। পরে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্য হয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় শাহবাগ-সাইন্সল্যাব রোডসহ আশপাশের এলাকায়।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর ‘লাঠিচার্জ’ করে ধাওয়া দেয়। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে শাহবাগ সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

আন্দোলনকারী শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, ‘পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। আমাদের ৮-১০ জনকে আটক করেছে। আমরা দাবির কথা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের দাবির কোনো সন্তোষজনক পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা আন্দোলনে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’

আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর ব্রিফিংকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার আশরাফ হোসেন বলেন, ‘আমরা কোনো লাঠিচার্জ করিনি। আমরা তাদেরকে হুইসেল বাজিয়ে তাদেরকে এখান থেকে সরাতে পেরেছি।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর