রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩০ মে, ২০২৩ ১০:৩৪ : অপরাহ্ণ
যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রও তাই চায়। আমি কোনো দ্বিমত দেখছি না।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টারে (ইএমকে) ‘বন্ধুত্বের শেকড় : যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ডক্টর শাম্মী আহমেদ।
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের আবারও ফেরত চান।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়ে জানতে চাইলে পিটার হাস বলেন, সব বাংলাদেশি যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রেরও একই চাওয়া। সেটি হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি পরিষ্কার করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যরা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পরিষ্কার করেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাংলাদেশি যাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে, তারাও একই মতপ্রকাশ করেছেন। এখানে কোনো দ্বিমত নেই।
নতুন ভিসানীতির কারণ সম্পর্কে পিটার হাস বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন যা বলেছেন তা বাংলাদেশের মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে সহযোগিতা করার জন্য। আমরা আমাদের পন্থায় ভিসা নীতি ব্যবহার করেছি।
নতুন ভিসা নীতি সাধারণ মানুষের ওপরও ব্যবহার হবে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা নীতি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর ব্যবহার করা হবে। তবে যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে থাকবে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসা নীতির ভবিষ্যৎ কী