রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ মে, ২০২৩ ১০:১১ : পূর্বাহ্ণ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে নিহত হন তিনি।
বরাবরের মতো এবারও শোকাবহ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে বিএনপি। এ উপলক্ষে ১৮ দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠন।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। এরপর ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী থানার বাগবাড়ীর মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মনসুর রহমান কলকাতায় একজন কেমিস্ট হিসেবে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন। শৈশব ও কৈশোরের একটি সময় গ্রামে কাটিয়ে তিনি বাবার সঙ্গে কলকাতায় এবং দেশ বিভাগের পর করাচিতে চলে যান।
শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী যখন নিরস্ত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন জিয়াউর রহমান।
আজ মঙ্গলবার ভোরে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকালে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপি নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাবেন। সমাধি প্রাঙ্গণে মিলাদ মাহফিল ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে ড্যাবের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প হবে। এদিন দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ, কালোব্যাজ ধারণ, সংবাদপত্র এবং অনলাইন পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন সময় আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।