রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ মে, ২০২৩ ৯:১১ : অপরাহ্ণ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আবার ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। রিজার্ভের অন্যতম প্রধান দুই উৎস রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ধীরগতির কারণে আজ বৃহস্পতিবার রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
দীর্ঘ ৭ বছর পর গত ৮ মে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে। তবে দু’দিনের মাথায় আবার ৩০ বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করে। গত ১০ মে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া ঋণের ৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলার যোগ হওয়ায় দ্রুত তা বেড়েছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বাজারে এখনো ডলারের ঘাটতি রয়ে গেছে। ডলারের চাহিদা যতটা, সরবরাহ তার তুলনায় কম। তাই প্রতিদিন ডলার বিক্রি করে জোগান দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপাতত আর কোনো বিকল্প হাতে নেই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, গত বছরের ২৫ মে রিজার্ভ ছিল ৪২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। এর মানে গত এক বছরে কমেছে ১২ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তা দ্রুত কমতে থাকে।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের মতে, বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফেরাতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগের মধ্যেও সংকট যায়নি। নতুন এলসি কমলেও আগের দায় পরিশোধের চাপ রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে। এ কারণে সংকট কাটছে না অর্থনীতিতে। পাশাপাশি রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় চাপ আরও বেড়েছে।