রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৪ মে, ২০২৩ ১২:৩৯ : অপরাহ্ণ
‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’- ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের এমন বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে এনেছেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে তাপসের বক্তব্যের বিষয়ে নজরে আনা হয়।
‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’- মেয়র তাপসের এমন বক্তব্য নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশ আপিল বিভাগে পড়ে শোনান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘‘গত রোববার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মেয়র তাপস বলেছেন, ‘মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান) আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেশতা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যে সকল সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন সেই সকল সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেবো।’’
ব্যারিস্টার আমীর বলেন, ‘‘তার এই বক্তব্যে আনফরচুনেটলি…।’ এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা বক্তব্য ভালো করে পড়ে দেখি। তারপর কী করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’’
আদালত থেকে বের হয়ে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাপস যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা আদালত অবমাননা। তার বক্তব্যে সারাদেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমরা আশা করছি, আপিল বিভাগের ৮ বিচারপতি বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মামুন মাহবুব, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।