রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, রংপুর প্রকাশের সময় :২৪ মে, ২০২৩ ৭:২৮ : অপরাহ্ণ
সরকারের ইচ্ছামতো নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
তিনি বলেন, ‘এটি কোনো নির্বাচন হতে পারে না। জনগণ যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, এ লক্ষ্যে নতুন একটি নির্বাচন পদ্ধতি তৈরি করতে হবে। সবাই মিলে, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে নতুন নির্বাচন পদ্ধতি বের করতে হবে।
আজ বুধবার বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্বাচন হচ্ছে, তা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আমরা মনে করছি না। আমরা নির্বাচনব্যবস্থার পরিবর্তন দেখতে চাই। একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আমরা সব দল আন্দোলন করেছিলাম, নির্বাচনও বর্জন করেছি। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের জন্য জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ নির্বাচন বর্জন করেছিল। আমরা এ দুটি ব্যবস্থার বাইরে আসতে চাই।’
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংসদের এই উপনেতা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমাদের অবস্থান, সাংগঠনিক শক্তি ও সমর্থন বিবেচনা করে কারও সঙ্গে জোট করতে হলে করব কিংবা সার্মথ্য থাকলে এককভাবে নির্বাচন করব। আমরা এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। বর্তমানে আমরা দেশের রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের দেশ শাসনের অতীত অভিজ্ঞতা আছে। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব ঠিক করেছি। এ লক্ষ্যে সংগঠনগুলো শক্তিশালী ও সংগঠিত করছি।’
দেশে ডলারের ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘আমি মনে করি, এটি রাজনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। ডলারসংকট বর্তমান সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটির কারণে সামাজিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হতে পারে। দেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। এটি সরকারকে সতর্কভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। তা না হলে তাদের বড় ধরনের মাশুল গুনতে হবে।’
এ সময় রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এসএম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।