সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আইন-আদালত

সাগর-রুনি হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ৯৮ বার পেছালো


নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি। ফাইল ছবি

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২২ মে, ২০২৩ ৩:০১ : অপরাহ্ণ

১১ বছরে ৯৮ বার সময় পেয়েও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি র‌্যাব।

আজ রোববার এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু প্রতিবেদন দাখিল না করে আবারও সময় চেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ জুন নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।

এ নিয়ে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আদালত ৯৮ বার সময় দিলেন।

সাংবাদিক সমাজ ও নিহতদের স্বজনরা অপেক্ষায় আছেন তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হলেই হয়তো তার ভিত্তিতে শুরু হতে পারে এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার বিচারকাজ-এমনটাই মনে করছেন তারা।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় ২০২১ সালের মার্চ মাসে র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে অগ্রগতির প্রতিবেদন দিয়ে বলেছিলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজন অপরিচিত ব্যক্তি জড়িত ছিল। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টি-শার্টে ঐ দুই ব্যক্তির ডিএনএর প্রমাণ মিলেছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ল্যাবে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। প্রতিষ্ঠান দুটি ডিএনএর মাধ্যমে অপরাধীর ছবি বা অবয়ব প্রস্তুতের কাজ করে যাচ্ছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।

এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ আট জনকে আসামি করা হয়।

বাকি আসামিরা হলেন-বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদকে আসামি করা হয়।

এ মামলার তদন্তে প্রথমে ওই থানার একজন এসআই নিয়োজিত ছিলেন। চার দিন পর ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ডিবি পুলিশ দুই মাসে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার যায় র‍্যাবের কাছে। কিন্তু দীর্ঘ ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর