রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
প্রকাশের সময় : ১৯ মে ২০২৩, ৭:০৯ অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘‘বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন, ‘আপনি আমাদের অনুপ্রেরণা।’ এরা (বিএনপি) বলে খালি হাতে ফিরেছে। মানুষ জানে শেখ হাসিনা সৎভাবে জীবনযাপন করছেন। তিনি লুটপাট করেননি। তার পরিবারের লোকজনরা চাকরি করে খায়। একজন প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ঘুমান। এইরকম প্রধানমন্ত্রী যেদেশে, সে দেশে আন্দোলনের ডাক দিলে লোকজন পাওয়া যাবে না।’’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন বলেন, ‘বিএনপি আবার পদযাত্রা শুরু করেছে। এটা কি পদযাত্রা নাকি অন্তিম যাত্রা। উপরে তারা দেখাচ্ছে আমরা নরম, ভেতরে তারা আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপি গুলশানে একটা গুজবের কারখানা করেছে। আরেক মিথ্যাচারের ফ্যাক্টরি নয়া পল্টন। তারা সারাদিন মাইকের সামনে মিথ্যাচার করছে। তাদের মূল কথা শেখ হাসিনাকে হটাবে।’
বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল সাহেব যতো লাফালাফি করবেন কিন্তু আন্দোলনের সময় শেষ। মানুষ বুঝে গেছে বিএনপি কোমর ভাঙা দল। তারা জানে বিএনপি নির্বাচনে গেলে বিএনপি শেখ হাসিনার ধারের কাছেও যেতে পারবে না। তাদের আন্দোলনের নেতা নাই। অস্ত্র উচিয়ে, বোমা মেরে, পেট্রোল বোমার চর্চা আর করতে চাইলে জনগণ রুখে দেবে। খেলা হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। খেলা হবে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে। যারা এদেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনতার রোষানলে কারা পড়েছে, যারা রাস্তা দখল করে পদযাত্রা করছে, জনগণের রোষানলে তাদের ওপরেই। সে হাত দিয়ে ভাঙচুর করা হবে সেই হাত ভেঙে দেব। এখন ওয়ার্মআপ চলছে, ফাইনাল খেলা এখনো বাকি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিদেশি বন্ধুদের আশস্ত করে বলতে চাই-আগামী নির্বাচন একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে। আপনাদের কাউকে নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। বিএনপির মতো হাঁটুভাঙা দল নিয়ে মাথা ঘামানো দরকার নেই।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নে মুগ্ধ। যদি মানুষকে প্রশ্ন করেন কাকে ভোট দেবেন? তারা বলবে যারা রাস্তা দিয়েছে, বিদ্যুৎ দিয়েছে, যে উপজেলায় ডিজিটাল সেন্টার দিয়েছে তাকে ভোট দেবো। যে পদ্মা সেতু করেছে তাকে ভোট দেবো।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে এটা শেখ হাসিনা জানে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। সারা বিশ্বেই সংকট, সুদানে দুই জেনারেলের লড়াই চলছে। পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ঘটেছে ৮০ শতাংশ।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফির সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ খ ম বাহা উদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত ২০