রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৯ মে, ২০২৩ ৮:৩১ : অপরাহ্ণ
বর্তমান সরকারের সময় শেষ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজকে যতোই চিল্লা-চিল্লি করেন, যতই জাপান, যুক্তরাজ্য, আমেরিকা, কাতার ও চীনে যান-কোনো লাভ হবে না। সময় শেষ। আজরাইল প্রস্তুত।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
‘আদালতের নির্দেশনা অধীনস্থ আদালত ও সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতিসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবি’ তে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনাকে ঠেকানো যাবে, মোখাকে ঠেকানো যাবে কিন্তু জনতার উত্তাল স্রোতকে ঠেকানো যাবে না। এখনও সময় আছে জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। জনগণকে মুক্তি দেন এবং জনগণের যে দাবি উঠেছে সেই দাবি মেনে নেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের এ অবস্থার মধ্যেও আমাদের ক্ষমতাসীন বন্ধুরা যারা এসি গাড়িতে-বাড়িতে বসে পোলাও-কোরমা বিরানি খাচ্ছেন তারা বলছেন, দেশের সব ঠিক আছে। তাদের বলবো-চার দেয়াল থেকে বেরিয়ে মানুষের কাছে আসুন। তাদের মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। আসলে যারা মানুষের মতকে তোয়াক্কা করেন না তারা এসবে বিশ্বাস করে না।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উপর থেকে নেমে আসুন। এই গণভবন থেকে বের হন, পাইক-পেয়াদা, এসএসএফ, সোয়াত এগুলো বাদ দিয়ে এই মানুষের সামনে এসে দাঁড়ান। দেখুন তারা কী বলে । মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মানুষ আর বাঁচতে পারছে না।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা সৎভাবে জীবনযাপন করেন, লুটপাট করেননি: কাদের
সরকারি কর্মচারি-কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন অন্যায়ভাবে কোনো কিছু করবেন না, যা জনগণের বিরুদ্ধে যায়।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার দেশে-বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে। এখন দেশের মানুষসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব চায় বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু, সঠিক, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। সেটা তারা জানেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সম্ভব হবে না। তাই বলতে চাই, আপনারা দয়া করে এমন অবস্থা তৈরি করবেন না যেখানে আপনারাও চিহ্নিত হয়ে যাবেন।’
তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না-এমন হুশিয়ারি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওরা বলে কি- তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি কবরে চলে গেছে, বিলীন হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপনারা (আওয়ামী লীগ) যখন চেয়েছিলেন তখন ছিল এটা ভালো.. সেদিন তো শেখ হাসিনা আপনি বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনটাই মানবেন না। আজকে আমাদের পরিস্কার কথা-এদেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য, নিজের ভোট নিজে দেবার জন্য এবং ভোটের রেজাল্ট ঘরে আনার জন্য-বিএনপিও তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন মানবে না।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় জনসমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, কামরুজ্জামান রতন, যুবদলের মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।