রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৪ মে, ২০২৩ ৫:৩১ : অপরাহ্ণ
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূলে আঘাত করার পর সামান্য দুর্বল হয়ে পড়েছে। আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে গতিপথ বদলে মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে ঘূর্ণিঝড়টি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই পূর্বাভাস জানানো হয়।
এর আগে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলীয় কয়েকটি এলাকা। এসব এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত প্রাণহানি বা অন্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র যখন সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মায়ানমারের মংডু জেলার মধ্যবর্তী স্থানের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা শুরু করেছে, সৌভাগ্যক্রমে একই সময়ে সমুদ্রে ভাটা শুরু হয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রেই খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে মোখার তাণ্ডব, লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি (ভিডিও)