রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৩ মে, ২০২৩ ৮:১৫ : পূর্বাহ্ণ
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দাবি, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি।
আজ শনিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিএনপির সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেবেন।
রমজান শেষে মে দিবসের কর্মসূচি পালনের পর নতুন কর্মসূচি চূড়ান্ত করা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি।
গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দ্রুত কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত হওয়ার এক দিন পর ধারাবাহিক কয়েকটি বৈঠক করে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
এর পরই কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।
বিএনপি নেতারা জানান, মূলত শনিবারের সমাবেশের মাধ্যমে সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রথম ধাপ শুরু হবে। এদিনের কর্মসূচি থেকে সারা দেশের ৮২ সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আজকের সমাবেশে বড় জমায়েত করতে গত দুইদিন নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি সভা করেছে। এতে ঢাকার আশপাশের জেলার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতারা জানান, সমাবেশ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার প্রতিবাদের সঙ্গে ১০ দফা দাবি আদায়ের বিষয়টিও যুক্ত করা হয়েছে। মূলত এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন মাঠ গড়াবে।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সমাবেশে ঢাকার আশপাশের জেলার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন। এ জন্য ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা বিএনপি শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এছাড়া নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে মহানগর কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি প্রস্তুত সভা করেছে। মহানগরের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা নয়াপল্টনে একটি সফল কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়েছি। আগামীতে সরকার পতনের একদফা কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।’