সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আবহাওয়া

১৭০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসছে ‘মোখা’


অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এরই প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা উপকূল। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৩ মে, ২০২৩ ৯:১৭ : পূর্বাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিবেগ বাড়ছে। শক্তি সঞ্চয় করে ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এটি। ১৭০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকেই কক্সবাজার ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায় এ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে শুরু করবে।

আগামীকাল রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সিডরের মতো বিধ্বংসী জলোচ্ছ্বাস নিয়ে এটি কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সুপার সাইক্লোন না বললেও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী মোখার গতি ঘণ্টায় ২২১ কিলোমিটার হবে বলে জানিয়েছে। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি হলে তাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়।

গতকাল শুক্রবার রাত ২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান অবস্থান ছিল মোখার।

মোখার অবস্থান সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহও ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের প্রবল আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১০ থেকে ১২ ফুট।

মোখা নিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে দুর্যোগ সতর্কতাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ডিজাস্টার অ্যালার্ট অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন সিস্টেম (জিডিএসিএস)। এই মুহূর্তের দুর্যোগগুলোর মধ্যে মোখাকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

মোখা সম্পর্কে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেছেন, ‘এটি সিডরের মতো চোখাকৃতি তৈরির দিকে এগোচ্ছে। যদি তা-ই হয়, তাহলে পুরো চট্টগ্রাম বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকির মুখে আছে। উপকূলে আঘাতের সময় এর বাতাসের গতিবেগ ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার থাকতে পারে।’

আরও পড়ুন:

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন ‘মোখা’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর