শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আবহাওয়া

ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন ‘মোখা’



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১১ মে, ২০২৩ ১:২৩ : অপরাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’য় পরিণত হয়েছে। এটি সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

আগামী রোববার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে কক্সবাজার ও মিয়ানমারের মাঝামাঝি উপকুল এলাকায়।

এটি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। মোকার গতিপ্রকৃতি প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এ অবস্থায় বেশ কিছুদিন ধরে সোশাল মিডিয়ায় এ ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। চলছে নানা ধরনের রঙ্গরসিকতাও।

জেনে নেওয়া যাক, ঘূর্ণিঝড়টির নাম কীভাবে ‘মোখা’ হলো।

মোখা নামের উৎস
ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (ডাব্লিউএমও/ইএসসিএপি) তথ্য অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ইয়েমেন। দেশটির বিখ্যাত শহর মোখার নাম থেকেই রাখা হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম।

মোখা এমনিতেই বেশ পরিচিত একটি শহর। সারা বিশ্বের কাছে এই শহরের পরিচিতি তার কফির জন্য। কফির উৎপাদন এবং সারা বিশ্বে সরবরাহের কাজ করা হয় এই শহর থেকে। এটির নামেই নামকরণ হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে কমিটি
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে আরব মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন।

ঝড়ের নাম ঠিক করার জন্যে প্রত্যেক দেশ কিছু নাম প্রস্তাব করে। প্যানেল অন ট্রপিকল সাইক্লোন-এর কাছে সেই নামগুলো পেশ করা হয় ও একটি তালিকা তৈরি হয়।

এই ১৩ দেশের সংস্থা এস্কেপ ২০২০ সালেই ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছে। সেই তালিকা থেকে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয় ‘মোখা’।

ঘূর্ণিঝড়ের নামের ওই তালিকা থেকেই এর আগের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছিল থাইল্যান্ডের দেওয়া ‘সিত্রাং’। আর এবার ইয়েমেনের দেওয়া নাম ‘মোখা’। এরপরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘বিপর্যয়’। এই নামটি বাংলাদেশের দেওয়া।

ঘূর্ণিঝড় যেভাবে সৃষ্টি হয়
সমুদ্রের কোনো স্থানে সাগরে বাতাসের চাপ কমে গেলে সেখানে লঘুচাপ তৈরি হয়। এই প্রবণতা আরও বেড়ে গেলে একসময় নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়।

আবহাওয়াবিদদের মতে, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস সবচেয়ে ভয়ংকর হয়ে ওঠে অবতল আকৃতির অগভীর বা উপসাগরে। মৌসুমি ঘূর্ণিঝড়ের তীব্র বাতাস যখন এরকম জায়গায় সাগরের পানিকে ঠেলতে থাকে, তখন ফানেল বা চোঙার মধ্যে তরল পদার্থ যে আচরণ করে, এখানেও তাই ঘটে। সাগরের ফুঁসে ওঠা পানি চোঙা বরাবর ছুটতে থাকে।

আবহাওয়াবিদ ও ওয়েদার আন্ডারগ্রাউন্ডের একজন লেখক বব হেনসনের ভাষ্য অনুযায়ী – ‘এরকম ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের টেক্সটবুক উদাহরণ হচ্ছে বঙ্গোপসাগর’।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর