রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ মার্চ, ২০২৩ ১০:১৯ : পূর্বাহ্ণ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও হাইকমিশনারদের সম্মানে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপি আন্দোলন করছে। অতি সম্প্রতি আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের ১৭ নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, শতাধিক নেতাকর্মী গুম।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের পদত্যাগ, সংসদে ভেঙে দেওয়া ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বিএনপি রাজপথে যে আন্দোলন করছে তার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষও অংশ নিচ্ছে। দেশের বেশিরভাগ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল রাজপথে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।’
কূটনীতিকদের মধ্যে ইফতারে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি. মান্টিটাস্কি ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি।
ইফতারে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা অংশ না নিলেও দেশটির উপ-হাইকমিশার বিনয় জর্জ অংশ নেন। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশন প্রধান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, ফিলিস্তিন, সৌদি আরবের কূটনীতিকরা অংশ নেন।
ইফতারে বিএনপির নেতাদের মধ্যে ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আলম নোমান, শাহজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, এ এস এম আবদুল হালিম, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, গোলাম আকবর খন্দকার, এনামুল হক চৌধুরী, ফরহাদ হালিম ডোনার, বিজন কুমার সরকার, আবদুল কাইয়ুম, খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান সারোয়ার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমূল বিশ্বাস, শামা ওবায়েদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, জহির উদ্দিন স্বপন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, মীর হেলাল, সাবেক সাংসদ মোশাররফ হোসেন।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে অংশ নেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, যমুনা টিভির সিইও ফাহিম আহমেদ, এনটিভির সিএনই জহিরুল আলমস।
এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারাও ইফতারে ছিলেন।