রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৩ মার্চ, ২০২৩ ৬:৪২ : অপরাহ্ণ
ব্রয়লার মুরগির দাম পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ৩৫-৪০ টাকা কমিয়ে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করতে রাজি হয়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো।
সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তিনি এ কথা বলেন।
এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান জানান, ‘মুরগির দাম ২০০ টাকার বেশি হতে পারে না, সেখানে বুধবারও মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৭০-২৮০ টাকা দরে। অস্বাভাবিক মূল্যের কারণে আজকে করপোরেট হাউজগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম।’
মার্চের প্রথম দিক থেকে বাজার অস্থিরতা কারণে ভোক্তা অধিকারের বাজার অভিযানে ও পর্যবেক্ষণে নামার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৯ মার্চ আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করি। তখন আমরা জেনেছি করপোরেট পর্যায়ে যে মুরগির উৎপাদন খরচ পড়ে ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, সেটির দাম হাত বদল হয়ে বাজারে আসতে আসতে লাফিয়ে বাড়তে থাকে।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘গতকাল বুধবার নিউমার্কেটের বনলতা থেকে আমরা জানতে পারি কাপ্তানবাজারে ২৪৯ টাকা কেজিতে মুরগি বিক্রি হয়েছে, যা করপোরেট হাউসে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দাম হাত বদল হয়ে ভোক্তা পর্যায়ে ২৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই, এনএসআইসহ কর্পোরেট হাউসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করি, যেখানে করপোরেট হাউসের সদস্যদের আমরা মাঠ পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির নানা সিন্ডিকেটের এসএমএস, কল রেকর্ড দেখিয়ে দাম কমানোর অনুরোধ করি। এতে তারা করপোরেট পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম ২৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৯০ টাকা থেকে ১৯৫ টাকা করার বিষয়ে সম্মত হন।’
এতে বাজারে অর্থাৎ ভোক্তা পর্যায়ে মুরগির দাম ২৭০/২৮০ টাকা থেকে আরও কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
কয়েক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী ব্রয়লার মুরগির বাজার। প্রতি সপ্তাহেই ওঠানামা করছে মুরগির দাম। এর প্রেক্ষিতে মুরগি উৎপাদনকারী চার প্রতিষ্ঠান কাছে ব্রয়লারের অযৌক্তিক দামবৃদ্ধির ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে চিঠি দেয় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এই চার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কাজী ফার্মস লিমিটেড, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ ও প্যারাগন পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড।