রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২১ মার্চ, ২০২৩ ৮:০১ : অপরাহ্ণ
পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান এখন দুবাই পুলিশের নজরদারিতে। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে পাঠানো ঢাকার অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাকে পূর্ণ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট একটি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তবে আরাভ খানকে এখনো আটকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
আরাভ খান দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হননি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানিয়েছে, গ্রেপ্তার এড়াতে আরাভ খান আমিরাত ছাড়তে পারেন-এমন আশঙ্কা ছিল। কারণ আরাভ খান নাম ব্যবহার করে নেয়া তার ভারতীয় পাসপোর্টে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ভিসা রয়েছে।
দুবাই পুলিশের অনানুষ্ঠানিক সূত্র বাংলাদেশ কনস্যুলেটকে এটা নিশ্চিত করেছে যে, ব্যবসায়ী আরাভ খান এখন দুবাই পুলিশের হাতের নাগালে। তাকে নরজদারিতে রাখা হয়েছে। যাতে কোনো অবস্থাতেই স্থান বদল বা পালাতে না পারেন।
এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, তাকে আটকে দুবাই পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। তারা তার অবস্থান চিহ্নিত করেছে এবং তাকে নজরদারিতে রেখেছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তাকে ‘আটক’ বলা যাবে না।
কনসাল জেনারেল বলেন, আরাভ খানকে আটক এবং দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ। এ সংক্রান্ত ‘রেড নোটিশ’ জারির পরপরই সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তাকে আটকে তৎপর হয়ে উঠে।
আরাভ খানকে গ্রেপ্তার ঘোষণার পর যত দ্রুত সম্ভব (আনুষ্ঠানিকতা সেরে) তাকে দেশে ফেরাতে চায় সরকার।
এর আগে সোমবার পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক ইন্টারপোল সেই আবেদন গ্রহণ করে।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের এক অনুষ্ঠানে আইজিপি সাংবাদিকদের বলেন, আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক কোনো কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপযুক্ত সময়ে তা খোলাসা করা হবে।