রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১:০৫ : অপরাহ্ণ
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাকে সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এদেশের বিরুদ্ধে, জাতির স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ একটি চক্রান্ত, একটি ষড়যন্ত্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের নিরাপত্তা রক্ষা ব্যবস্থা, সার্বভৌমত্ব, আমাদের স্বাধীনতা প্রচণ্ডভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল।’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত দুঃখজনক ও কলঙ্কজনক একটি দিন। এই দিনে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত নৃশংসভাবে তাদের পরিবার পরিজনসহ হত্যা করা হয়েছে। একটি ভয়াবহ ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এতো সেনা কর্মকর্তাকে হারাতে হয়নি। এদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের গর্ব সেনাবাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দেওয়া। আমাদের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে রক্ষার জন্য যারা তাদের প্রাণ উৎসর্গ করে শপথ নিয়েছেন তাদের সম্পূর্ণ নৃশংসভাবে, অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ষড়যন্ত্রের পেছনে যারা রয়েছেন তাদের বের করে নিয়ে আসার যে তদন্ত প্রক্রিয়া হওয়া উচিত ছিল, সেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে সংযুক্ত হয়নি। প্রায় ৭ হাজারের মতো সৈনিক যারা অনেকেই সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ দাবি করেন। এখন পর্যন্ত তাদের মামলার শুনানি শেষ করা হয়নি। কারাগারে তারা ১৩-১৪ বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের পরিবার এবং সমস্ত ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি আজকে দাবি করব তাদের বিরুদ্ধে যে জুডিশিয়াল সমস্যাগুলো রয়েছে তা অতি দ্রুত সম্পাদন করে এদের একটা ব্যবস্থা করা উচিত, তাদের মুক্তি হওয়া উচিত। তাদের পরিবারগুলোকে একটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করার ব্যবস্থা করবেন।’
আরও পড়ুন: পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর আজ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) ফখরুল আজম, রিয়ার এডমিরাল মুস্তাফিজুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল আলম, কর্ণেল ফয়সাল, কর্নেল জয়নুল আবেদীন, লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) মো. হানিফ, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান, মেজর (অব.) নিয়াজ আহমেদ জাবের, মেজর (অব.) কোহিনূর আলম নূর, ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া, বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবীর খান প্রমুখ।