রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১২:৪৩ : অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভোট চোরকে এদেশের মানুষ কখনো মেনে নেয় না।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীতে কালশী ফ্লাইওভারের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে একটি নির্বাচন করেছিল। জনগণের ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। যেহেতু জনগণের ভোট চুরি করেছে, সেহেতু জনগণ কিন্তু মেনে নেয়নি। ওই বছরই ৩০ মার্চ অর্থাৎ ওই ইলেকশনের দেড় মাসের মধ্যেই খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল জনগণের আন্দোলনের ফলে। ভোট চোরকে জনগণ কখনো গ্রহণ করে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একই ঘটনা ঘটিয়েছিল ২০০১ সালে আবারো ক্ষমতায় আসার পর। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, দুর্নীতিতে পাঁচ পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন, এরা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল। আর ক্ষমতায় থাকার জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তারা ভোটার তালিকা যুক্ত করে ২০০৬ সালে নির্বাচন ঘোষণা করেছিল। তারপর ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারির যে নির্বাচন সেখানেও জনগণ যখন বুঝতে পারলো আবারো এরা ভোট চুরি করবে ফলে আবারো আন্দোলন খালেদা জিয়ার আবার বিদায় হলো। ভোট চোরকে এদেশের মানুষ কখনো মেনে নেয় নাই। মেনে নেবেও না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি তো পেয়েছিল মাত্র ২৯টা সিট। আর একটা জিতেছিল উপনির্বাচনে। অর্থাৎ ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছিল তারা। কাজেই আমরা দেশের উন্নয়ন করে জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেই বার বার সরকারে এসেছি। এখন যতই এব্যাপারে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করুক আমরা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। আর সেটা করতে পেরেছি বলেই আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছি বলেই উন্নয়ন করতে পেরেছি। আর আগামীর বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। আমরা সম্মানের সঙ্গে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। কারো কাছে হাত পাতবো না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে দেশে ও দেশের বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। নৌকা মার্কা স্বাধীনতা এনেছে, নৌকা মার্কায় যত উন্নয়ন দিয়েছে, সামনেও যত উজান ঠেলে হোক, নৌকা মার্কা এগিয়ে যাবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম।
এর আগে আজ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কালশী মোড় সংলগ্ন বালুরমাঠ, মিরপুর, ঢাকায় ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশীমোড়ে নির্মিত ফ্লাইওভার এর নামফলক উন্মোচন করেন।
এরপর থেকে এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। বিএনসিসি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১ হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছে।