রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ৮:৩৫ : পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে আয়োজিত গণতন্ত্র সম্মেলনে এবারও আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ। আগামী ২৯ ও ৩০ মার্চ ভার্চুয়ালি ওই বৈশ্বিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কর্তৃত্ববাদী সরকারকে প্রতিহত করা, দুর্নীতি দমন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা-এ তিন লক্ষ্যে অঙ্গীকার পূরণের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আসন্ন সম্মেলনে আলোচনা হবে।
দ্বিতীয় দফার এ সম্মেলনে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও মালদ্বীপসহ ১১১টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যে চার দেশকে এবার যৌথ আয়োজক হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে কোস্টারিকা, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাম্বিয়াকে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচ দেশের সবগুলোতেই অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন।
আমন্ত্রণ জানানো হবে সরকার, বেসরকারি খাত ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের।
আলোচনা হবে, কী করে গণতান্ত্রিক দেশগুলো নাগরিকদের তুলনামূলক ভালো সেবা দেয় এবং কী করে বৈশ্বিক সমস্যাগুলো মোকাবিলার ক্ষেত্রে এসব দেশের প্রস্তুতিও সবচেয়ে ভালো থাকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো গণতন্ত্রের বৈশ্বিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল।
সে সম্মেলনে ১১০টি দেশের প্রায় সাড়ে সাতশ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন। সেই সম্মেলনে বাংলাদেশ আমন্ত্রণ পায়নি।
তখন ঢাকার তরফে পরবর্তী সম্মেলন অর্থাৎ দ্বিতীয় সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছিল।
কিন্তু, এবারও সেটা হয়নি। মার্কিন গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ খুব একটা চিন্তিত নয়।
গণতন্ত্রের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানালেই গণতন্ত্র ভালো প্রমাণ হবে তা কিন্তু নয়-এমন মন্তব্য করে সচিব বলেন, কোন দেশকে কি বিবেচনায় আমন্ত্রণ করা হয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রই ভালো বলতে পারবে।
এবারের গণতন্ত্র সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সহ–আয়োজক হিসেবে রয়েছে কোস্টারিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ড এবং জাম্বিয়া।
সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও মালদ্বীপসহ বিশ্বের ১১১টি দেশ আমন্ত্রণ পেয়েছে।