আওয়ামী লীগের সংসদীয় সভায় নতুন রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, ‘বোঝা গেলো, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি বানান। একটা রেজ্যুলেশন নিয়ে বলা হলো যে উনি (প্রধানমন্ত্রী) যাকে মনে করেন তাকে দেবেন। মিনিমাম যে একটা ডেকোরাম আছে, একটা ইলেকশন হয়, ভোট হয়, আরও কী হয়-সব জিনিসকে পদদলিত করা হলো। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, কতখানি স্বেচ্ছাচারী মানুষ হতে পারেন। নির্বাচনে জেতার ক্ষেত্রেও এ রকম করবেন। এখান থেকে তার একটা প্রমাণ পাওয়া গেলো।’
আজ সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: আমরা কোনো ইয়েস উদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিইনি: কাদের
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ব্যক্তিগভাবে কে রাষ্ট্রপতি হলেন, না হলেন-খুব বেশি পার্থক্য ভেরি করে না। রাষ্ট্রপতির ফাংশন ও ডিউটি ডিফারেন্ট, তিনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না এবং প্রধানমন্ত্রীর কিছু বিষয় আছে সব ব্যাপারে তার (প্রধানমন্ত্রী) কথা শুনতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি হলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘দেশ চলছে একজনের নির্দেশে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন তা প্রমাণ করেছে। একজনতন্ত্রের দেশে অনেক সম্ভবও অসম্ভব হতে পারে, আবার অসম্ভবও সম্ভব হতে পারে।’
এর আগে বিকেলে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ও আন্দোলনের দাবি নিয়ে একটি যৌথ ঘোষণার খসড়া প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে মান্না ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম ছিলেন।
অন্যদিকে বিএনপির পক্ষে টুকু ছাড়াও ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
