রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১০:২৯ : পূর্বাহ্ণ
তুরস্ক ও সিরিয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। জাতিসংঘ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, মোট মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হতে পারে।
তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকারি কর্মকর্তা ও চিকিৎসদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৬০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সিরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছে ৪ হাজার ৫৭৪ জন। ফলে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ১৭৯ জনে।
সিরিয়ায় নিহত ৪ হাজার ৫৭৪ জনের মধ্যে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ১৬০ জন বলে জানিয়েছে ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসএএনএ জানিয়েছে, সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৪১৪ জন।
গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাতে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপের কাছে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের অন্তত ১০টি প্রদেশ ও দক্ষিণের প্রতিবেশী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। একইদিন পরে কাছাকাছি ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পে পরিস্থিতি অকল্পনীয় হয়ে দাঁড়ায়।
ভূমিকম্পের জেরে দুদর্শায় পড়েছেন তুরস্ক ও সিরিয়ায় বেঁচে যাওয়া লাখ লাখ মানুষ। দেশ দুটিতে হাজার হাজার ভবন ভেঙে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাবারসহ জরুরি নানা পণ্যের সংকট।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প উপদ্রুত এলাকাগুলোতে আট লাখের বেশি মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারের সংকটে রয়েছেন। বিপত্তি আরও বাড়িয়েছে তীব্র ঠান্ডা। এতে ভূমিকম্পের কবল থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা যেমন কষ্টে রয়েছেন, তেমনই বাধা পড়ছে উদ্ধারকাজে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে দেশটির সব পক্ষকে অবিলম্বে মানবিক করিডর খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জন্য অবশ্যই সীমান্ত খুলে দিতে হবে এবং অবিলম্ব ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় সাহায্য বিতরণের অনুমতি দিতে হবে।