রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

মাইক্রোফোন ধরলেন আইনমন্ত্রী, সাত্তার বললেন ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের তিন সংসদ সদস্যের সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত হন বিএনপির দলছুট নেতা আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ৯:৫১ : অপরাহ্ণ

দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদ থেকে পদত্যাগের করে পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় বিএনপির দলছুট নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এরপর আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

আজ রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ডরমিটরিতে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের তিন সংসদ সদস্যের সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত হন আলোচিত এই এমপি।

সেখানে ‘বাংলাদেশে জিন্দাবাদ’ বলে বক্তব্য শেষ করে পুনরায় আলোচনায় উঠে এসেছেন উকিল আবদুস সাত্তার।

ওই অনুষ্ঠানে উকিল সাত্তার বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রায় ৩০ সেকেন্ড তার সামনে মাইক্রোফোন ধরে রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আধুনিকায়িত ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরীর আগে বক্তব্য দেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি মুখমণ্ডল থেকে সামান্য দূরে মাইক্রোফোন ধরেন।

এ জন্য তার বক্তব্য স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল না। অসুস্থতার কারণে সে সময় তার শরীর কাঁপছিল।

তখন পাশে বসা আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মাইক্রোফোনটি উকিল সাত্তারের মুখের কাছে ধরে রাখেন। তখন প্রায় ৩০ সেকেন্ড আবদুস সাত্তারের সামনে মাইক্রোফোন ধরে রাখেন তিনি।

আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন, প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রীসহ যারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন, সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের দাবিদাওয়া দেখার মালিক প্রধান অতিথি। ওনার সঙ্গেও থাকবো, ওনার পাশে থাকবো। যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করবো। এই বলে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি বয়োবৃদ্ধ। কিন্তু জীবনের শেষে এসে বুঝতে পেরেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন আওয়ামী লীগ দিয়েই হয়। এজন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।

আনিসুল হক বলেন, এখন একটা দাবি উঠেছে, কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট। আমরা একটা কথা বলতে চাই। যৌক্তিক কোনো দাবির ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনারও কোনো সমস্যা নেই। বিএনপির দুঃশাসন ও নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য দেশে কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট আবির্ভাব হয়েছিল। বিএনপির অপকর্মগুলো ঢাকার জন্যই কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের জন্ম।

আইনমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালত বলল, কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সেহেতু এটা অবৈধ। এটা বাতিল করে দেওয়া হলো। সুপ্রিম কোর্ট কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধান সংশোধন করেছে সংসদ। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা আর নাই। এখন থেকে সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, ঠিক সেভাবেই নির্বাচন হবে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর