রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ৫:২৯ : অপরাহ্ণ
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘হিরো আলম হিরো হয়ে গেছে। কারণ, আওয়ামী লীগ হিরো আলমের কাছেও অসহায় পড়েছে। তারা হিরো আলমের কাছেও মাত্র ৮০০ ভোটে জিতেছে। তাও চুরির অভিযোগ এনেছেন হিরো আলম।’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির পূর্বঘোষিত ঢাকা বিভাগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশ থেকে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের জাতির অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন। আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন। সেই লক্ষ্যেই আমরা দশ দফা ও ২৭ দফা প্রণয়ন করেছি। এর মধ্য দিয়েই দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে যে তারা একটি দাবিকে আন্দোলন করছে। সেটা হলো এই অবৈধ ভোটারবিহীন সরকারের পদত্যাগ। আমরা বলে আসছি অনির্বাচিত সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না।’
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ উপনির্বাচন: হেরে গেলেন হিরো আলম
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে সরকার টিকে আছে চাপার জোরে। গগ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। তারা একদিকে ঋণ করছে, আরেকদিকে জনগণের পকেট কাটছে। আজকে তারা জনগণের দিকে তাকায় না। দেশ এখন লুটেরাদের কবলে পড়েছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সব গণমাধ্যম বন্ধ করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। আজও আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদেরকে দমাতে পারবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে হাজার হাজার ভুলে ভরা পাঠ্যপুস্তক তৈরি করেছে। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের কৃষ্টি কালচার নষ্ট করছে। সরকার সংসদ থেকে শুরু করে সবকিছু ধ্বংস করে একটি ব্যর্থ জাতি তৈরি করতে চায়। তারা প্রতিনিয়ত জনগণের ঘৃণা কুড়াচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখনও সময় আছে খালেদা জিয়া, রুহুল কবির রিজভী, খন্দকার আবু আশফাকসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি দিন। নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটানো হবে। এরপরে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা ধীরে ধীরে চলছি। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছি।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু এবং আমিনুল হকের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল খবির খোকন, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, তাবিথ আউয়াল, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, অংগ সংগঠনের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, আফরোজা আব্বাস, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।