রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ৮:১৯ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের এক নেতাকে নিয়োগ না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উপাচার্যের (ভিসি) কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট সভা চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ ভাঙচুর চালায়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ ‘একাকার’ গ্রুপের নেতাকর্মীরা এই ঘটনা ঘটান। এ সময় সেখানে সংগঠনটির ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনও আটকে রেখেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়সহ চলমান সমস্যা নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে চলছিল সিন্ডিকেট সভা। দিনভর এই সভা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং ‘একাকার’ গ্রুপের নেতা মাঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে ভিসির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় ওই গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
এ সময় তারা উপাচার্যের দপ্তরের সামনে রাখা কয়েকটি ফুলের টব এবং দপ্তরের ভেতরে রাখা বেশ কয়েকটি প্লেট ও চায়ের কাপ ভেঙে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
একাকার গ্রুপের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মঈনুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘এখানে ছাত্রলীগের একটা গোল্ড মেডেলিস্ট ছেলে ছিল৷ ওকে না নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন নেতা ও জামাত-শিবির মদদপুষ্ট প্রার্থীকে নেয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি এদেরকে বাদ দিতে হবে এবং গোল্ড মেডেলিস্টকে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত জামাত-শিবির মদদপুষ্ট প্রার্থীকে বাদ দেয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ট্রেন অবরোধ থাকবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অরুপ বড়ুয়া বলেন, ‘উপাচার্যের দপ্তরে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কয়েকটি। কারা এসব ভাঙচুর করেছে তা সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। ঘটনার সমাধানে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে এখন প্রক্টররা কাজ করছেন। পরবর্তীতে তদন্ত করা হবে কারা জড়িত ছিল।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘আমি জেনেছি, ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ভাঙচুর করেছে এবং শাটল ট্রেন আটকে রেখেছে। কেন করেছে এটি আমি খোঁজ নিয়ে সাংগঠনিকভাবে বিবেচনা করবো।’