রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, রাজশাহী প্রকাশের সময় :২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:২১ : পূর্বাহ্ণ
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আজ রোববার রাজশাহীতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে নতুন চেহারায় সেজেছে রাজশাহী শহর। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পুরো রাজশাহী শহরের প্রতিটি বড় রাস্তায় তৈরি করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক তোরণ। ব্যানার ফেস্টুন আর পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে এরই মধ্যে জনসভায় যোগ দিতে এসেছেন রাজশাহীতে।
আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
ওই অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে রাজশাহী নগরের মাদ্রাসা মাঠে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
এখানে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর ৩২ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে চান আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ। নৌকার আদলে বানানো হয়েছে মঞ্চ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রাজশাহী জুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, রাজশাহী জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিটি পয়েন্টেই নিরাপত্তা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।
মাদ্রাসা মাঠ দেখা গেছে, মাঠের উত্তর পাশে প্রধান প্রবেশপথে বাঁশ দিয়ে এমনভাবে গেট তৈরি করা হয়েছে, যেন সুশৃঙ্খলভাবে মানুষ ভেতরে ঢুকতে পারেন। মাঠের মধ্যে একাধিক বাঁশের বেড়া দিয়ে মাঠকে কয়েক ভাগে ভাগ করে ফেলা হয়েছে।
এ ছাড়া মাঠে বেশিসংখ্যক মানুষের স্থান সংকুলানের জন্য মাঠের দক্ষিণ পাশের দেয়ালটি অপসারণ করা হয়েছে। এতে দক্ষিণ পাশের রাস্তাটি এখন মাঠের সঙ্গে সংযুক্ত।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহীর সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাদ্রাসা ও ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ হবে। শহরে ২২০টি মাইক ও ১২টি এলইডি স্ক্রিন থাকবে। এ ছাড়াও সমাবেশের জন্য ৫ শতাধিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়েছে। আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।