রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ৯:১৮ : পূর্বাহ্ণ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ। বিদ্যা, জ্ঞান, কলা ও শুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে দেবী সরস্বতীর পূজা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
সনাতন শাস্ত্রমতে, চতুর্ভূজা ব্রহ্মার মুখ থেকে আভির্ভূতা শুভ্রবর্ণা বীনাধারিণী চন্দ্রের শোভাযুক্ত দেবীই হলেন সরস্বতী। বাংলা বর্ষের মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়। এ তিথি শ্রী পঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামে পরিচিত।
আজ সরস্বতী দেবীর পূজা, আরাধনা করে তার চরণে পুষ্পাঞ্জলী দেবেন ভক্তরা। অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে দূর করে আলোর পথ দেখাতে কল্যাণময়ী দেবীর পাদপদ্মে প্রণতি জানাবেন তারা।
সরস্বতী পূজায় অভ্র, আবীর, আমের মুকুল, দোয়াত কলম যবের শিষ এসব উপাচারের প্রয়োজন হয়।
পূজার দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শিশুদের হাতেখড়ি, ব্রাহ্মণভোজন ও পিতৃতর্পণ (পূর্ব পুরুষদের স্মরণ করা) করা হবে। প্রত্যুষে পূজার্চ্চনা, আরাধানা, পুষ্পাঞ্জলী অনুষ্টিত হবে।
পূজা উপলক্ষে সারা দেশের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ছাড়াও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঘরে ঘরে সরস্বতী পূজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পূজা ছাড়াও পূজা ছাড়াও অন্য অনুষ্ঠানমালায় আছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি। দেবীর সামনে ‘হাতেখড়ি’ দিয়ে শিশুদের বিদ্যা চর্চার সূচনা হবে অনেক স্থানে।
রাজধানীসহ সারদেশে মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্টানসহ পাড়া মহল্লায় অস্থায়ী মন্ডপে মহাসমারোহে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্দির ও ম-পগুলোকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে।
রাজধানীর স্বরসতী পূজার অন্যতম কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে এবার ৭৩টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়াও দ্বিতীয় বৃহত্তম আয়োজন করা হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেখানে ৩৬টি মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। এছাড়াও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।