শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কী কী ক্ষতি হতে পারে?



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ৭:১৭ : অপরাহ্ণ

অনেকেই ঘুমানোর আগে মোবাইলে ফেসবুকে কিংবা ইন্ট্রাগ্রামে নিউজ ফিডে চোখ বুলাতে থাকেন। একসময় তা মাথার কাছে কিংবা নিজের বালিশের নিচে রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন।

কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না, মোবাইল ফোন মাথার কাছে কিংবা বালিশের নিচে রাখা কতটা বিপজ্জনক।

অনেকের সকালে মাথাব্যথা হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয়, চোখে ব্যথা থাকে কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে, এটি মোবাইল ফোনের কারণে হয়।

আজ আমরা আপনাদের বলবো, ফোন পাশে রেখে ঘুমালে কী কী ক্ষতি হতে পারে, ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন কতটা দূরে থাকা উচিত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সম্পর্কে কী কথা বলে।

গবেষকরার বলছেন, মোবাইল ফোন থেকে বের হওয়া রেডিয়েশন আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে এবং আপনি প্রচণ্ড মাথাব্যথা, মাংসপেশী ব্যথা কিংবা অন্য কোন শারীরিক সমস্যা অনুভব করতে পারেন। মোবাইল থেকে বের হওয়া ৯০০ মেগা হার্জেল পরিমান রেডিয়েশন শরীরের কার্যকারিতা নষ্ট করার সংকেত প্রদান করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ফোন থেকে বের হওয়া রেডিয়েশনের সঙ্গে শরীরের কার্যকারিতার একটা যোগসূত্র আছে।

মোবাইল ফোন থেকে যে রেডিয়েশন সব সময় বের হয় তা শরীরের কোষের বিকাশের বাধা সৃষ্টি করে। ফলে নানা ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

মোবাইল ফোন থেকে বের হওয়া নীল রঙের রশ্মি ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়। কারণ এই রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনেকটা দিনের আলোর মতোই, একারণে মনে হয় আমরা দিনের আলোতেই ঘুমাচ্ছি।

রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইলের ব্যাটারি থেকে নির্গত গ্যাসের প্রভাবে চোখ, নাক ও গলা জ্বলার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন কত দূরে রাখা উচিত?

মোবাইল ফোনকে বিছানা থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে রাখলে বিপজ্জনক রেডিয়েশন এড়ানো যায়। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের শক্তি মোবাইল ফোনের সাথে যুক্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে যে, ফোন থেকে নির্গত আরএফ রেডিয়েশন মস্তিষ্কের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

যখন ঘুমাতে যান মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ রাখুন অথবা এরোপ্লেন মুডে রাখুন। অনেকে মোবাইল ফোনেই অ্যালার্ম দিয়ে নিজের পাশে রেখে ঘুমান।

কিন্তু যখন আপনি জানছেন, এটা আপনার জন্য ক্ষতিকর তখন সত্যিকারের অ্যালার্ম ঘড়ি রাখুন।

আপনি কতক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন তার একটি দৈনন্দিন রুটিন তৈরি করুন। আপনি বাড়িতে ঢুকেই কতক্ষণ ফোন চালাবেন, তা ঠিক করে নিন এবং কখন ঘুমাতে যাবেন-সময় নির্দিষ্ট করে রাখুন।

প্রতিদিন নির্দিষ্ট ওই সময়ের মধ্যেই কেবল ফোন ব্যবহার করবেন আর রাতের বাকি সময়টাতে সকাল না হওয়া পর্যন্ত আর ফোন স্পর্শ করবেন না।

এটা যদি অভ্যাস হিসেবে গড়ে ওঠে, তখন আপনার ফোনটিকে সব সময় বিছানার পাশে হাতড়ে বেড়াতে হবে না কিংবা ঘুমের বিঘ্ন হবে না।

আরও পড়ুন: মোবাইল থেকে লাইভ লোকেশন শেয়ার করবেন যেভাবে

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর