রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:০১ : পূর্বাহ্ণ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলীর ছায়া সুনিবিড় নিভৃত জনপদ বাগবাড়ির এক বনেদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
দিবসটি পালনে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিএনপি ১৭ জানুয়ারি থেকে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আবারও আলোচনায় আসেন তিনি।
নানা পটপরিবর্তনের একপর্যায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ১৯৮১ সালে ৩০ মে ভোররাতে একদল সেনাসদস্য তাকে হত্যা করে। পরে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন।
১৯৫৩ সালে জিয়াউর রহমানের যোগ দেন সে সময়ের পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জিয়াউর রহমান।
দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযুদ্ধের একটি স্বতন্ত্র সেক্টরের। তার নামে গড়ে ওঠে জেড ফোর্স।
১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন জিয়াউর রহমান।
১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আবারও আলোচনায় আসেন তিনি। নানা পটপরিবর্তনের একপর্যায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
১৯৮১ সালের ৩০ মে ভোররাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সেনাসদস্য তাকে হত্যা করে। পরে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতির এক ক্রান্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঐতিহাসিক যুগান্তকারী দায়িত্ব পালন করেন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় এবং তিনি যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় মহান নেতা। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক আপসহীন দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। তাই সব ধরনের আধিপত্যকামী বৈদেশিক চাপ ও অশুভ প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টাকে অগ্রাহ্য করে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ জিয়াউর রহমানের এক অবিস্মরণীয় অবদান।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সৈনিক ও রাজনৈতিক জীবনের সততা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রম প্রতিটি মানুষ শ্রদ্ধাভরে এখনো স্মরণ করে। একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবেও তাঁর পরিচিতি সর্বজনবিদিত। সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন ও দিকনির্দেশনা।’
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জা করা হয়। এছাড়াও বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন পৃথক পৃথক পোস্টার প্রকাশ এবং জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শেরেবাংলা নগরস্থ জিয়ার মাজারে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও নেতাকর্মীরা ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ অর্পণ করবেন।
সকালে দলের ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সারা দেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিটে যথাযোগ্য মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে।
বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা হবে।
বেলা ১২টায় ড্যাব বিএনপি অফিসের নিচে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প করবে।
এসব কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য, সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেবেন।