রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ৪:০৮ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটা কমিটমেন্ট আছে, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার। আমরা যখন সমস্যা দেখি, তখন কথা বলি, পরামর্শ দেই। আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলি। গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশকে পরামর্শ দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায় তার দেশ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক হয়।
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে বাংলায় সালাম দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন লু। এর পর বাংলায় তিনি বলেন, ‘মনোমুগ্ধকর নদীমাতৃক এবং অতিথিপরায়ণ মানুষের দেশ বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি এখানে এসেছি, আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে। যখন বর্তমান বিশ্ব শান্তির জন্য সংগ্রাম করছে।’
ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, ‘জিএসপি সুবিধা চালু হলে প্রথমে বাংলাদেশ এ সুবিধা পাবে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আমাদের কেন্দ্রবিন্দু। এটা নিয়ে আমরা পরামর্শ দিই।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে মার্কিন এ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এতে প্রমাণিত হয়, র্যাব সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও আইন প্রয়োগের দায়িত্ব মানবাধিকার রক্ষা করেই করতে পারবে। র্যাব নিয়ে।’
আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওনার (লু’র) দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনা খুব কনস্ট্রাকটিভ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পুরোনো বন্ধু। গত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আর আমরা আগামী ৫০ বছরে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চাই। এটা নিয়ে আমরা আলাপ করেছি।’
বহুল আলোচিত মার্কিন ডিপ্লোমেট ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভারত হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছান।
ঢাকা সফরের প্রথম দিনেই তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি মন্ত্রীর ইস্কাটনস্থ সরকারি বাসভবনে (পররাষ্ট্র ভবন) যান। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে একান্তে বৈঠক করেন তারা। ওই বৈঠকের বিষয়ে কেউই সাংবাদিকদের কিছু বলেননি।
ঢাকা আসার আগে দুদিন নয়াদিল্লিতে কাটিয়েছেন মার্কিন সহকারী মন্ত্রী। সেখানে ভারত সরকার এবং দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন বিষয়, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার।
দিল্লির সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, দিল্লিতে থাকাকালে ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন এশিয়া এক্সপার্ট ডোনাল্ড লু।