রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:৩৭ : পূর্বাহ্ণ
র্যাবের মতোই আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির ওপর। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত দূতদের সতর্ক থাকতে চিঠি লিখেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
৭ পাতার চিঠিতে মোট ২৪টি ইস্যু তুলে ধরা হয়। চিঠিতে নির্বাচনের আগে বেশ কিছু বিষয়ে বিশেষ নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। বৈশ্বিক ও স্থানীয় রাজনীতির দিকেও চোখ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্রসচিব এ চিঠি দিয়েছেন। ইউরোপে নিযুক্ত একটি দেশের রাষ্ট্রদূত এ চিঠি পেয়েছেন বলে একটি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই চিঠি পাঠানোর পরদিন ১ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও এক অনলাইন বৈঠকে নির্বাচনের বছরে সতর্ক থাকার জন্য বিদেশে রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী গতকাল শনিবার বলেন, র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টির উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর ২০২১ সালে র্যাবের ওপর আসে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্যক্তি ও সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র ও রাজস্ব দপ্তর।
মার্কিনীদের পর আসতে পারে যুক্তরাজ্য ও ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এমন খবরে সতর্ক সরকার।
পররাষ্ট্রসচিবের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামীতে যেকোনো অজুহাতে সরকারি সংস্থার এবং এর কর্মকর্তাদের ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
তাই সর্বোচ্চ সতর্ক ও সজাগ থাকার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব। ক্ষতিকর পদক্ষেপ আটকাতে সর্বদা প্রস্তুত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয় চিঠিতে।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে জারি হয়েছিল এই নিষেধাজ্ঞা।
এখন নির্বাচনের আগের বছরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাসগুলোর সঙ্গে একধরনের টানাপোড়েন চলছে। ঠিক এমন সময়ে নিজের দূতাবাস ও মিশনগুলোকে সতর্ক করলো মন্ত্রণালয়।
র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক জবাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে চিঠিটি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
২৮ ডিসেম্বর মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ল ফার্ম নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ সরকার।